
#এইচএসসি, ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি: পদ
ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি: পদ
প্রশ্ন ১ : বিশেষ্য পদ কাকে বলে? বিশেষ্য পদ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ প্রত্যেক প্রকার বিশেষ্য পদের পরিচয় দাও। (দিবো-২০১৬)
অথবা, উদাহরণসহ বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর। (রাবো-২৩)
অথবা, বিশেষ্য পদ কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর। (সিবো-২৩)
উত্তর: বাক্যে ব্যবহৃত যে পদ দিয়ে কোন ব্যক্তি, বস্তু, বিষয়, স্থান, কাল, ভাব বা গুণের নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য বলে। যেমন : করিম, রংপুর ইত্যাদি। বিশেষ্য পদ প্রধানত ছয় প্রকার। যথা : (ক) সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য, (খ) জাতিবাচক বিশেষ্য, (গ) বস্তুবাচক বিশেষ্য, (ঘ) সমষ্টিবাচক বিশেষ্য, (ঙ) ভাববাচক বিশেষ্য ও (চ) গুণবাচক বিশেষ্য । নিচে এই ছয় প্রকার বিশেষ্যের পরিচয় দেয়া হলো :
(ক) সংজ্ঞাবাচক বা নামবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ নির্দিষ্ট ব্যক্তি, বস্তু বা স্থান বোঝায় তাকে নাম বাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : জহির, বাংলাদেশ, মধুমতি ইত্যাদি।
(খ) জাতিবাচক বিশেষ্য : যে পদে একই জাতিভূক্ত সকল প্রাণী বা পদার্থ বোঝায় তাকে ‘জাতিবাচক’ বিশেষ্য বল। যেমন : পাহাড়, বাঙালি, মাছ, মানুষ, নদী ইত্যাদি।
(গ) বস্তুবাচক বিশেষ্য : যে পদে সংখ্যা দ্বারা নয়, কেবল পরিমাণ বা ওজন দ্বারা নির্দেশ করা যায় এমন বস্তু বা দ্রব্য বোঝায় তাকে বস্তুবাচক
বিশেষ্য বলে। যেমন : ধান, পানি ইত্যাদি।
(ঘ) সমষ্টিবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদে ব্যক্তি বা বস্তুর সমষ্টি বোঝায় তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : জনতা, বাহিনী ইত্যাদি।
(ঙ) ভাববাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদে ক্রিয়ার ভাব বোঝায় তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : ঘুমানো, দান, পড়া, রান্না ইত্যাদি।
(চ) গুণবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদে কোন বস্তুর দোষ, গুণ বা অবস্থার নাম বোঝায় তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : তারুণ্য, সমতা, সুখ, সৌন্দর্য, সততা ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২ : আবেগ শব্দ কাকে বলে? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। (রাবো- ১৬, সিবো-১৭)
অথবা, আবেগ শব্দ বলতে কী বুঝো? আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর। (ঢাবো, মবো-২৩,
অথবা, আবেগ শব্দ কাকে বলে? উদাহরণসহ আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর। (কুবো-২৩)
উত্তর: যে সমস্ত শব্দ দ্বারা মানুষের মনের ভাব বা আবেগ প্রকাশ পায় সে সমস্ত শব্দকে আবেগ শব্দ বলে। যেমন: বাহ্! কী চমৎকার ফুল। এখানে ‘বাহ্’ শব্দটির কোনো অর্থ নেই, কিন্তু এটি মনের গভীর আবেগকে প্রকাশ করেছে। প্রথাগত ব্যাকরণে এগুলোকে অনন্বয়ী, মনোভাবাত্মক বা অন্তর্ভাবাত্মক অব্যয় বলা হয়ে থাকে।
মনের আবেগ প্রকাশের ধরণ অনুযায়ী আবেগ শব্দকে নিম্নলিখিত কয়েক প্রকারে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন:
(ক) সিদ্ধান্তবাচক আবেগ শব্দ: এ জাতীয় আবেগ শব্দ দ্বারা সিদ্ধান্ত, অনুমোদন, সম্মতি ইত্যাদি নির্দেশ করা হয়। যেমন: না, তোমার সাথে আর পারা গেলো না।
(খ) প্রশংসাবাচক আবেগ শব্দ: এ জাতীয় আবেগ শব্দ দ্বারা কোনো কিছুর প্রশংসা প্রকাশ পায়। যেমন: বাঃ! কী চমৎকার কথা আপনি বললেন।
(গ) বিরক্তিবাচক আবেগ শব্দ: এ জাতীয় আবেগ শব্দ দ্বারা বিরক্তি, ঘৃণা বা অবজ্ঞা প্রকাশ পায়। যেমন: ছিঃ ছিঃ ! এতো নীচ আচরণ আপনি করতে পারেন।
(ঘ) ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগ শব্দ: এ জাতীয় আবেগ শব্দ দ্বারা ভয় বা যন্ত্রণা প্রকাশ পায়। যেমন: আঃ! কী বিপদেই না পরলাম।
(ঙ) বিস্ময়বাচক আবেগ শব্দ: এ জাতীয় আবেগ শব্দ দ্বারা বিস্ময় বা আশ্চর্যের ভাব প্রকাশ পায়। যেমন: আরে, এমন সুন্দর ফুল তো আগে দেখি নি!
(চ) করুণাবাচক আবেগ শব্দ: এ জাতীয় আবেগ শব্দ দ্বারা করুণ বা সহানুভূতি প্রকাশ পায়। হায়! হায়! এখন আমাদের কী উপায় হবে?
(ছ) সম্বোধনবাচক আবেগ শব্দ: এ জাতীয় আবেগ শব্দ দ্বারা বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা বা মাধুর্য প্রকাশ করা হয়। যেমন: যা শয়তান! খালি আমার সাথে সবসময় দুষ্টুমি, না!
(জ) আলঙ্কারিক আবেগ শব্দ: এ জাতীয় আবেগ শব্দ বাক্যের অর্থের পরিবর্তন ঘটায় না। বরং বাক্যের অর্থের কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি সৃষ্টি করে।
যেমন: যাক গে, অতীত নিয়ে ভেবে আর লাভ নেই। বাপ্ রে বাপ ! তুই এত হাসাতে পারিস।
প্রশ্ন ৩: বাংলা ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ দেখাও।
অথবা, উদাহরণসহ ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর। (যবো-২৩)
অথবা, ক্রিয়াপদ কাকে বলে? উদাহরণসহ ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর। (ববো-২৩)
উত্তর : বাংলা ক্রিয়াপদকে তিনটি মাপকাঠিতে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো : ১. অর্থ বা ভাব প্রকাশের দিক থেকে ২. গঠনগত দিক থেকে ৩. কর্মের দিক থেকে।
১. অর্থ বা ভাব প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়াপদ দুই প্রকার। যথা: ক.সমাপিকা ক্রিয়া ও খ. অসমাপিকা ক্রিয়া।
ক.সমাপিকা ক্রিয়া : যে ক্রিয়া বাক্যের অর্থ বা ভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ করে, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন – আমরা সত্য কথা বলি।
খ. অসমাপিকা ক্রিয়া : যে ক্রিয়া বাক্যের অর্থ বা ভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ করতে পারে না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন – সে কলেজে যেয়ে ক্লাস করবে।
২. গঠন বৈশিষ্ট্য বিচারে ক্রিয়া চার প্রকার। নিছে এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
ক. যৌগিক ক্রিয়া : একটি অসমাপিকা ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া যোগে যে ক্রিয়া গঠিত হয় তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন – সুখবর শুনে মনন আনন্দে নেচে উঠল।
ক. মিশ্র ক্রিয়া : বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধনাত্মক অব্যয় এর সাথে কর, হ , দে, পা, যা, কাট, ছার, ধর, মার প্রভৃতি ধাতু যোগে যে ক্রিয়া গঠিত হয় তাকে মিশ্র ক্রিয়া বলে। যেমন – শিক্ষক আমার ছেলেটাকে মানুষ করলেন।
গ. প্রয়োজক ক্রিয়া : ধাতুর সঙ্গে বিভক্তি যোগ করে যে ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে। যেমন: কাজটা ভালো দেখায় না।
ঘ. নামধাতুর ক্রিয়া : নামধাতুর সাথে বিভক্তি যোগে যে ক্রিয়া গঠিত হয় তাকে নামধাতুর ক্রিয়া বলে। যেমন – ফল ফলানো আনন্দের কাজ।
৩. কর্মের দিক থেকে ক্রিয়া : কর্মপদ অনুসারে ক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় : যথা: ক . সকর্মক ক্রিয়া ও খ. অকর্মক ক্রিয়া
সকর্মক ক্রিয়া : যে বাক্যে এক বা একাধিক কর্ম থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন – মুগ্ধ বই পড়ে।
অকর্মক ক্রিয়া : যে বাক্যে কর্ম থাকে না তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন – পাখি ডাকে।
প্রশ্ন ৪ : বিশেষণ পদ কাকে বলে? বিশেষণ পদ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ প্রত্যেক প্রকার বিশেষণ পদের পরিচয় দাও।
উত্তর: যে পদ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, বৈশিষ্ট্য, সংখ্যা বা ধরন বোঝায় তাকে বিশেষণ বলে। যেমন : সে খুব ভাল ছেলে। বাক্যটিতে ‘ভাল’ শব্দটি বিশেষণ। বিশেষণ পদ প্রধানত দুই প্রকার। যথা : (ক) নাম বিশেষণ ও (খ) ভাব বিশেষণ । নিচে এদের পরিচয় দেয়া হলো:
(ক) নাম বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ কোন বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। যথা- সে রূপবান ও গুণবান। নাম বিশেষণ বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। যথা:
বৈশিষ্ট্যবাচক : কালো পোশাক, সবুজ গাছ ইত্যাদি। গুণবাচক : সৎ লোক, খারাপ বন্ধু ইত্যাদি।
অবস্থাবাচক : মুমূর্ষু ব্যক্তি, রোগা ছেলে ইত্যাদি। উপাদানবাচক : মেটে পাত্র, স্বর্ণময় পাত্র ইত্যাদি।
সংখ্যাবাচক : দশ টাকা, দুই জন লোক ইত্যাদি। পরিমাণবাচক : অনেক দুধ, কম দাম ইত্যাদি।
ক্রমবাচক : প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী ইত্যাদি। অংশবাচক : অর্ধেক পানি, সিকি ভাগ ইত্যাদি।
সর্বনাম বাচক : যে ব্যক্তি, যার কথা ইত্যাদি। প্রশ্নবাচক : কোন ব্যক্তি? কেমন মানুষ? ইত্যাদি।
নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক : এই লোক, সেই লোক ইত্যাদি।
(খ) ভাব বিশেষণ : যে পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম ভিন্ন অন্য পদকে বিশেষিত করে তা-ই ভাব বিশেষণ। ভাব বিশেষণ চার প্রকার। যথা :
ক. ক্রিয়া বিশেষণ, খ. বিশেষণীয় বিশেষণ, গ. অব্যয়ের বিশেষণ এবং (যথা- ধিক্ তারে, শত ধিক্ নির্লজ্জ যে জন) ঘ. বাক্যের বিশেষণ।
প্রশ্ন ৫: গঠন অনুযায়ী ক্রিয়া কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ এদের পরিচয় দাও।
উত্তর : গঠন অনুযায়ী বাংলা ক্রিয়াপদকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো নিম্নরূপ:
(১) যৌগিক ক্রিয়া (২) মিশ্র ক্রিয়া (৩) প্রযোজক ক্রিয়া ও (৪) নাম ধাতুর ক্রিয়া
নিচে উদাহরণসহ এদের পরিচয় দেওয়া হলো:
(১) যৌগিক ক্রিয়া: একটি সমাপিকা ও একটি অসমাপিকা ক্রিয়া মিলে যদি একটি বিশেষ ক্রিয়াপদ গঠন করে, তবে তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে।
যেমন: তাসনীম আনন্দে নেচে উঠল। অবশেষে আলভী কথাটা বলে ফেলল। এখানে ‘নেচে উঠল’ এবং ‘বলে ফেলল’ ক্রিয়া দুটি হলো যৌগিক ক্রিয়া।
(২) মিশ্র ক্রিয়া: বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধ্বনাত্মক অব্যয়ের সাথে কর, হ, দে, পা ইত্যাদি ধাতু সমন্বয়ে যে ক্রিয়াপত গঠিত হয়, তাকে মিশ্র ক্রিয়া বলে। যেমন: আমরা যমুনা ব্রীজ দর্শন করলাম। ঐশীকে দেখে প্রীত হলাম। মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।
উল্লিখিত উদাহরণে ‘দর্শন করলাম’, ‘প্রীত হলাম’, ‘ঝিম ঝিম করছে’ ক্রিয়াগুলো হলো মিশ্র ক্রিয়া।
উপযুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে দেখা যায় যে, গঠন বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে যৌগিক ক্রিয়া ও মিশ্র ক্রিয়া সম্পূর্ণ পৃথক। কেননা, যৌগিক ক্রিয়ায় দুটি ক্রিয়া পদ থাকে: এর একটি হলো সমাপিকা ক্রিয়া এবং অন্যটি অসমাপিকা ক্রিয়া।
অন্যদিকে মিশ্র ক্রিয়ায় একটি ক্রিয়া পদের সাথে বিশেষ অর্থে বিশেষ্য বা বিশেষণ বা ধ্বনাত্মক অব্যয় যুক্ত থাকে।
(3) প্রয়োজক ক্রিয়া : ধাতুর সঙ্গে বিভক্তি যোগ করে যে ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে। যেমন: কাজটা ভালো দেখায় না।
(4) নামধাতুর ক্রিয়া : নামধাতুর সাথে বিভক্তি যোগে যে ক্রিয়া গঠিত হয় তাকে নামধাতুর ক্রিয়া বলে। যেমন – ফল ফলানো আনন্দের কাজ।
প্রশ্ন ৬ : ভাব প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়াপদ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ এদের পার্থক্য আলোচনা কর।
উ: ভাব প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়াপদকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো নিম্নরূপ:
(১) সমাপিকা ক্রিয়া ঔ (২) অসমাপিকা ক্রিয়া।
নিচে এদের পার্থক্য আলোচনা করা হলো :
µg |
সমাপিকা ক্রিয়া |
অসমাপিকা ক্রিয়া |
1 |
যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের সমাপ্তি ঘটে, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: তাসনীম স্কুলে যায়। |
যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের সমাপ্তি ঘটে না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: তাসনীম স্কুলে যেয়ে.......। |
2 |
সমাপিকা ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়। যেমন: আলভি গান গায়। |
অমাপিকা ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ পায় না। যেমন: আলভি গান গায়ে........। |
3 |
অসমাপিকা ক্রিয়ার ন্যায় সমাপিকা ক্রিয়া নির্ভরশীল নয়, স্বাধীন। |
অসমাপকিা ক্রিয়া সমাপকিা ক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। |
4 |
সার্থক বাক্য গঠনে সমাপিকা ক্রিয়া অপরিহার্য। |
সার্থক বাক্য গঠনে অসমাপিকা ক্রিয়া অপরিহার্য নয়। |
5 |
সমাপিকা ক্রিয়া সাধারণত বাক্যের শেষে বসে। যেমন: তাসনীম বই পড়ে। |
অসমাপিকা ক্রিয়া সমাপিকা ক্রিয়ার পূর্বে বসে। যেমন: তাসনীম চেয়ারে বসে বই পড়ে। |
6 |
কর্তার রূপ পরিবর্তিত হলে সমাপিকা ক্রিয়ার রূপ পরিবর্তিত হয়। যেমন: সে চেয়ারে বসে পড়ে। |
কর্তার রূপ পরিবর্তিত হলে অসমাপিকা ক্রিয়ার রূপ পরিবর্তিত হয় না। যেমন: তিনি চেয়ারে বসে পড়েন। |
উপরে বর্ণিত পার্থক্যগুলোই সমাপিকা ক্রিয়া ও অসমাপিকা ক্রিয়ার প্রধান পার্থক্য।
প্রশ্ন ৭: সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণসহ এদের পার্থক্য দেখাও।
উত্তর: কর্মের দিক থেকে ক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: (১) সকর্মক ক্রিয়া (২) অকর্মক ক্রিয়া
নিচে উদাহরণসহ এদের পার্থক্য আলোচনা করা হলো:
(১) সকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার কর্মপদ আছে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন: তাসনীম বই পড়ে। সে ছবি আঁকে। এখানে ‘পড়ে’ ও আঁকে ক্রিয়ার
কর্ম হলো ‘বই ও ছবি’।
সকর্মক ক্রিয়ার আবার কখনও কখনও দু’টি কর্ম থাকে। যে ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলা হয়। যেমন তাসনীম আলভীকে চাঁদ দেখাচ্ছে। এখানে ক্রিয়াটি দ্বিকর্মক ক্রিয়া; কেননা এর দুটি কর্ম রয়েছে। কর্ম দুটি হলো চাঁদ ও আলভী।
(২) অকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার কর্ম নেই, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন: তাসনীম প্রতিদিন লাইব্রেরীতে যায়। এখানে ‘যায়’ ক্রিয়াটি অকর্মক ক্রিয়া। কারণ এর কোন কর্ম নেই।
কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী নিচের প্রশ্নগুলো পড়ার প্রয়োজন নেই। তবে পদ নির্বাচনের সুবিধার জন্য এবং ভর্তি পরীক্ষার জন্য পড়তে হবে |
প্রশ্ন ৮: যোজক কাকে বলে? যোজক কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লেখ। (কু. বো. ১৬)
উত্তর : যে শব্দ শ্রেণি দুটি বাক্য কিংবা দুটি পদের মধ্যে সংযোজন কিংবা বিয়োজন অথবা সংকোচন ঘটায় তাকে যোজক বলে। যেমন : মন ও দেহ সুস্থ থাকলেই সুখ। বাঙালি পরিশ্রমী জাতি এবং এরা শান্তিপ্রিয়ও বটে।
যোজক পাঁচ প্রকার যথা : ক. সাধারণ যোজক, খ. বৈকল্পিক যোজক, গ. বিরোধমূলক যোজক, ঘ. কারণবাচক যোজক এবং ঙ. সাপেক্ষ যোজক। নিচে এদের পরিচয় দেয়া হলো :
ক. সাধারণ যোজক : এ শ্রেণির যোজক দুটি শব্দ বা বাক্যকে সংযুক্ত করে। যেমন : তাসনিম ও জারিফ ভাই-বোন।
খ. বৈকল্পিক যোজক: এ শ্রেণির যোজক দুটি শব্দ বা বাক্যের মধ্যে বিকল্প নির্দেশ করে। যেমন : আমি হয় ভাত খাব না-হয় রুটি খাব।
গ. বিরোধ মূলক যোজক : এ শ্রেণির যোজক দুটি বাক্যের ভেতরে সংযোগ ঘটিয়ে দ্বিতীয়টির সাহায্যে প্রথমে বাক্যের বক্তব্যের সংশোধন বা বিরোধ নির্দেশ করে।
যেমন : করিম অথবা রহিম যে কোনো একজন আসলেই হবে।
ঘ. কারণবাচক যোজক : এ জাতীয় যোজক এমন দুটি বাক্যের মধ্যে সংযোগ ঘটায় যার একটি অন্যটির কারণ । যেমন : পাপ করেছ, তাই প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
ঙ. সাপেক্ষ যোজক : এ শ্রেণির যোজক একে অন্যের পরিপূরক হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয়। যেমন : যেমন বুনো ওল তেমনি বাঘা তেঁতুল।
প্রশ্ন ৯: সর্বনাম পদ কাকে বলে? সর্বনাম পদ কত প্রকার ও কী কী? প্রত্যেক প্রকার সর্বনামের উদাহরণ দাও।
উত্তর: বিশেষ্যের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম বলে। যেমন : সে তার নাম বলল। বাক্যটিতে ‘সে’ এবং ‘তার’ শব্দটি সর্বনাম। সর্বনাম বিভিন্ন প্রকার হয়। যেমন:
(ক) পুরুষবাচক বা ব্যক্তিবাচক সর্বনাম : আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, এরা ইত্যাদি।
(খ) আত্মবাচক : আপনি, স্বয়ং, নিজ, খোদ।
(গ) সামীপ্যবাচক : এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি, ইত্যাদি।
(ঘ) দূরত্ববাচক : ঐ, ঐসব, উহা, উনি।
(ঙ) সাকল্যবাচক : সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ, সর্ব।
(চ) প্রশ্নবাচক : কে, কী, কাহার, কার, কিসে?
(ছ) অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক : কোন, কেহ, কেউ, কিছু।
(জ) ব্যতিহারিক : আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
(ঝ) সংযোগজ্ঞাপক : যে, যিনি, যারা, ইত্যাদি।
(ঞ) অন্যাদিবাচক : অন্য, অপর, পর ইত্যাদি
প্রশ্ন ১০: অনুসর্গ কাকে বলে? পাচঁটি বাক্যে অনুসর্গের প্রয়োগ দেখাও।
উত্তর: অনুসর্গের সংজ্ঞা: বাংলা ভাষায় যে অব্যয় পদগুলো কখনও স্বাধীন পদ রূপে, আবার কখনও শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে সেগুলোকে অনুসর্গ বলে। যেমন- মাঝ, দিকে, দিয়ে, পরে ইত্যাদি।
অনুসর্গ প্রয়োগ করে পাঁচটি বাক্যের উদাহরণ:
১। মাঝে: তপু আবার ফিরে এসেছে আমাদের মাঝে। ২। দিকে: অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে ওরা।
৩। দিয়ে: হাসি দিয়ে ঘরটাকে ভরিয়ে রাখতো তপু। ৪। পরে: বছর খানেক পরে বেনুকে বিয়ে করে তপু।
৫। সঙ্গে: ক্যাপিটালে তপুর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। ৬। হতে: ভোর হতে ছেলেবুড়ো এসে জমায়েত হলো।
বাংলা ভাষায় ৫০টির বেশি অনুসর্গ আছে। নিচে অনুসর্গগুলোর তালিকা দেওয়া হলো:
অপেক্ষা, অবধি, অভিমুখে, অধিক, আগে, উপরে, করে, কর্তৃক, কাছে, কারণে, চেয়ে, ছাড়া, জন্য, তরে, থেকে, দরুন, দিকে, দিয়ে, দ্বারা, ধরে, নাগাদ, নিচে, নামে, নিকট, পর্যন্ত, পানে, পাশে, পিছনে, প্রতি, পরে, পাছে, পক্ষে, বদলে, বনাম, বরাবর, বাইরে, বাদে, বাবদ, বিনা, ব্যতীত, বিহনে, বলে,ভিতরে, ভিন্ন, মতো, মধ্যে, মাঝে,লেগে,সঙ্গে, সম্মুখে, সাথে, সামনে, সহ, সহকারে, সংক্রান্ত, হতে, হেতু।
প্রশ্ন ১১ : পদ কাকে বলে? পদ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: বিভক্তিযুক্ত শব্দকে পদ বলে। কিংবা বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দই পদ। যেমন: মানুষ পৃথিবী নামক গ্রহের সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। এই বাক্যের প্রতিটি শব্দই পদ।
প্রচলিত ব্যাকরণে পদ পাঁচ প্রকার। যথা:
(১) বিশেষ্য, (২) বিশেষণ, (৩) সর্বনাম, (৪) অব্যয় ও (৫) ক্রিয়া।
তবে বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রণীত ‘প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ গ্রন্থে পদকে আট ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো :
(১) বিশেষ্য, (২) বিশেষণ, (৩) সর্বনাম, (৪) ক্রিয়া, (৫) ক্রিয়া বিশেষণ,
(৬) যোজক, (৭) অনুসর্গ ও (৮) আবেগ শব্দ।
পদ নির্বাচন
নমুনা প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১ : নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি বিশেষণ পদ বাছাই করে লেখ:
নীল আকাশ। রোদেলা দুপুর। দখিনা বাতাসে টকটকে লাল পলাশ ফুল দুলছে। সাদা মেঘের দল বলাকার মতো উড়ছে। গ্রামের মেঠো পথে ছেলেরা খেলছে।
উত্তর : নীল, রোদেলা, দখিনা, লাল, সাদা, মেঠো।
প্রশ্ন ২ নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি বিশেষণ পদ নির্বাচন করো:
সকালে মা তার ঘুমন্ত শিশুকে জাগিয়ে গরম দুধ খাওয়ালেন। এরপর আড়াই বছরের অবুঝ শিশুটিকে নিয়ে বাগানে লাল লাল ফুল দেখালেন। সদ্যোজাত ফুলগুলো ছিল চমৎকার। ঝকঝকে রোদে পরিবেশও ছিল সুখবর।
উত্তর: i. ঘুমন্ত; ii. গরম; iii. অবুঝ; iv. লাল লাল; v. সদ্যোজাত।
প্রশ্ন ৩ নিচের অনুচ্ছেদ থেকে নিম্নরেখ পদগুলোর ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্দেশ করো:
আজ সারাদিন আকাশ সাদা মেঘে ঢাকা। মৃদু বাতাস বইছে। রাজিব ভাঙা ছাতা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে। আমি জানালায় দাঁড়িয়ে আপন মনে গান গাইছি। উহ্! বড্ড ঠান্ডা।
উত্তর: সাদা-বিশেষণ; বাতাস- বিশেষ্য; ভাঙা- বিশেষণ; গাইছি- ক্রিয়া; উহ- আবেগ শব্দ।
প্রশ্ন ৪ নিচের অনুচ্ছেদের নিম্নরেখ পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ করো:
একটু মিটমিট করিয়া ক্ষুদ্র আলো জ্বলিতেছে-দেওয়াতের ওপর চঞ্চল ছায়া, প্রেতবৎ নাচিতেছে। আহার প্রস্তুত হয় নাই-এজন্য হুকা হাতে, নিমীলিত লোচনে আমি ভাবিতেছিলাম যে, আমি যদি নেপোলিয়ন হইতাম তবে ওয়াটারলু জিতিতে পারিতাম কিনা।
উত্তর: মিটমিট-ক্রিয়াবিশেষণ; ক্ষুদ্র-বিশেষণ; নাচিতেছে-ক্রিয়া; হুঁকা-বিশেষ্য;
তবে-যোজক।
প্রশ্ন ৫ নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো:
“আব্বু ছোটোমামা হয়েছে। আব্বু ছোটোমামা হয়েছে।” আড়াই বছরের মেয়ের সদ্য-ঘুম-ভাঙা গলায় ভাঙা ভাঙা বুলি শুনে সে চমকে ওঠে, মিন্টু কি ঢুকে পড়লো অস্ত্রশস্ত্র হাতে? এর মানে পিছে পিছে ঢুকছে মিলিটারি। তার মানে-। না, দরজার ছিটকিনি ও খিল সব বন্ধ। তাকে কি মিন্টুর মতো দেখাচ্ছে? মিলিটারি আবার ভুল করে বসবে না তো? এর মধ্যে তার পাঁচ বছরের ছেলেটা গম্ভীর চোখে তাকে পর্যবেক্ষণ করে রায় দেয়, “আব্বুকে ছোটোমামার মতো দেখাচ্ছে। আব্বু তা হলে মুক্তিবাহিনী তাই না?”
উত্তর: i. ছোটো; ii. আড়াই; iii. সদ্য-ঘুমভাঙা; iv. পাঁচ; v. গম্ভীর।
প্রশ্ন ৬ : নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি বিশেষ্য পদ নির্বাচন কর:
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকায় ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৯এ মে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ঢাকায় বিক্রমপুরে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতার নাম নীরদাসুন্দরী দেবী। তাঁর পিতৃপ্রদত্ত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাকনাম মানিক। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন।
উত্তর: মানিক, বিহার, সাঁওতাল, দুমকা, ঢাকা, বিক্রমপুর, হরিহর, নীরদাসুন্দরী, প্রবোধকুমার, বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা।
প্রশ্ন ৭ : নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি বিশেষণ পদ নির্বাচন কর:
সাদা মেঘ আকাশ ছেয়ে আছে । হঠাৎ টিপ-টিপ বৃষ্টি শুরু হলো । করিম ভাঙ্গা ছাতা দিয়ে বৃষ্টি ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা করছিল। তার বেখেয়ালি মন হালকা বৃষ্টি আর মৃদ হাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠল।
উত্তর : অনুচ্ছেদ থেকে বিশেষণ নির্বাচন করে দেখানো হলো : সাদা, টিপ-টিপ, ভাঙা, বেখেয়ালি, হালকা ও মৃদু।
প্রশ্ন ৮:নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি বিশেষ্য পদ চিহ্নিত কর:
রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষার কবি, বিশ্বকবি। গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য তিনি নোবেল পান। সারা বিশ্বের বিদগ্ধজন যেমন আইনষ্টাইন, রোমা রোল্যাঁ, ইয়েটস প্রমুখের সাথে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। আবার ইতালির মুসোলিনিকে নিয়ে তিনি এঁকেছিলেন ব্যঙ্গচিত্র ।
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ, বাংলা, গীতাঞ্জলি, নোবেল, বিশ্ব, আইনস্টাইন, রোমা- রোল্যাঁ, ইয়েটস, ইতালি, মুসোলিনি।
প্রশ্ন ৯: নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি বিশেষণ শব্দ খুঁজে বের কর :
মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সৌন্দর্যপ্রিয়, রূপপিয়াসী,কল্পনাবিলাসী। মনকে আর্কষণ করার মতো এমন অনেক কিছু প্রকৃতিজগতে ছড়িয়ে আছে। রূপালি নদী, বিল, আকাশ, সাদা মেঘের ভেলা, সবুজ বৃক্ষলতা, নানা বর্ণের ফুল, নানা রঙের ফল, মায়াবী জ্যোৎস্না যে কারো হৃদয় মুগ্ধ করবেই ।
উত্তর : রূপালি, সাদা, সবুজ, নানা, মায়াবী।
প্রশ্ন ১০: নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি বিশেষ্য পদ চিহ্নিত কর :
সে ছিল চমৎকার এক সুন্দরী তরুণী। নিয়তির ভুলেই যেন এক কেরানীর পরিবারে তার জন্ম হয়েছে। তার ছিল না কোনো আনন্দ, কোনো আশা । পরিচিত হবার, প্রশংসা পাওয়ার, প্রেমলাভ করার এবং কোনো ধনী অথবা বিশিষ্ট লোকের সঙ্গে বিবাহিত হওয়ার কোনো উপায় তার ছিল না। তাই শিক্ষা পরিষদ অফিসের সামান্য কেরানির সঙ্গে বিবাহ সে স্বীকার করে নিয়েছিল।
উত্তর : ৫টি বিশেষ্য পদ চিহ্নিত করে দেখানো হলো : তরুণী, নিয়তি, কেরানি, আশা, আনন্দ, লোক, শিক্ষা পরিষদ।
প্রশ্ন ১১ : নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি সর্বনাম পদ চিহ্নিত কর :
আজি আমার বয়স সাতাশ মাত্র। এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যের হিসেবে বড়, না গুণের হিসেবে। তবু ইহার একটু বিশেষ মূল্য আছে। ইহা সেই ফুলের মতো যাহার বুকের উপর ভ্রমর আসিয়া বসিয়াছিল, এবং সেই পদক্ষেপের ইতিহাস তাহার জীবনের মাঝখানে ফলের মতো গুটি ধরিয়া উঠিয়াছে।
উত্তর : নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি সর্বনাম পদ চিহ্নিত করা হলো : আমার, এ, ইহার, যাহার, তাহার ।
প্রশ্ন ১২: নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি বিশেষণ নির্বাচন কর :
প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার একটি টেলিভিশন। সুস্থ শরীর না হলে খেলায় জয়লাভ অসম্ভব। সবুজ ঘাসের উপর হবে সাইকেল চালনা। হাসিহাসি মুখ নিয়ে বিজয় মঞ্চে উঠল ছেলেটি।
উত্তর : প্রদত্ত অনুচ্ছেদ থেকে বিশেষণ পদ নির্বাচন করা হলো : প্রথম, একটি, সুস্থ, সবুজ, হাসিহাসি, বিজয়।
প্রশ্ন ১৩: নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি বিশেষ্য পদ নির্বাচন কর :
রাত আটটাও বাজে নি, এর মধ্যে গনেশের হোটেল বন্ধ। নিরাময় ফার্মেসিও বন্ধ। একবার মনে হলে আমার নিজের ঘড়িই বন্ধ হয়ে আছে, রাত বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু আমি টের পাচ্ছি না।
উত্তর : গনেশ, হোটেল, ফার্মেসি, ঘড়ি, রাত।
প্রশ্ন ১৬: নিচের অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি সর্বনাম পদ নির্বাচন কর:
সেখানকার ছেলেমেয়েরা বেশ মজা পেল। তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, ছেলেটা নিশ্চয় পাগল হবে। ঠিক আছে আমরা সবাই তাকে রাজকুমার মনে করে সম্মান দেখাই।
উত্তর : সেখানকার, তারা, আমরা, সবাই, তাকে, নিজেদের।
এই ওয়েব সাইটে ১৫টা মডেল টেস্ট অথবা স্টাডি জোনে চাপ্টার ভিত্তিক ১৫টা পরীক্ষা দিলে
৫০/- টাকার ফ্লেক্সি লোড পাওয়া যাবে।
(নম্বর যতই পাও না কেন)
যে মোবাইল নম্বর দিয়ে সাইন আপ করেছো সেই মোবাইল নম্বরটা ০১৭১৩২১১৯১০ নম্বরে মেসেজ করে পাঠাও
অথবা ফোন দাও।
৫০/- টাকার ফ্লেক্সি
পৌঁছে যাবে তোমার নম্বরে
(বিদ্যা অর্জনও হলো টাকাও পেলে, মজা না?)
একবার এই বিজ্ঞাপনটা পরীক্ষা করে দেখই না !